Romantic Valobasar Golpo Ep 4 (রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প পর্ব ৪)
মেয়ে ঃ আমার ইচ্ছে আমি কাদব
ছেলে ঃ আচ্ছা তুমি কান্নাকাটি করো আমার প্রচন্ড ক্ষিদে পেয়েছে।
মেয়ে ঃ খেয়ে নাও কে বারন করেছে।
ছেলে ঃ টাকা নেই তো।
মেয়ে ঃ কতো লাগবে?
ছেলে ঃ বেশী না, ৫০ টাকা হলেই চলবে।
মেয়ে ঃ এই নাও।
ছেলে ঃ টাকাটা কাল PayTm করে পাঠিয়ে দেব।
মেয়ে ঃ লাগবে না
ছেলে ঃ কেন?
মেয়ে ঃ চলো আমার সাথে।
ছেলে ঃ কোথায়?
মেয়ে ঃ কাজি অফিসে
ছেলে ঃ হটাৎ কাজী অফিসে কেন?
মেয়ে ঃ বিয়ে করবো তাই।
ছেলে ঃ কাকে? নতুন কাউকে পেয়েছো নাকি?
মেয়ে ঃ না তোকে করবো
ছেলে ঃ আমাকে বিয়ে? এখন?
মেয়ে ঃ হ্যা, কোন সমস্যা?
ছেলে ঃ না মানে?
মেয়ে ঃ কিসের মানে মানে করছিস আজই আমাকে বিয়ে করতে হবে। তোর জীবনে আমি অন্য কাউকে আসতে দেব না।
ছেলে ঃ আমি যাব না।
মেয়ে ঃ তুই যাবি না তোর ঘার যাবে।
ছেলে ঃ কি আর করার। জানি এখন হাজার চেষ্টা করলেও লাভ নেই। এবার মনে হচ্ছে সত্যি সত্যিই বলছে। এখন যদি না যাই তাহলে আমি শেষ। অতঃপর কাজী অফিসে গিয়ে বিয়েটা করে ফেললাম।আর বিয়ে করে আমি তো মহা বিপদে পরে গেলাম। বাবা যদি জানতে পারে আমি বিয়ে করে ফেলেছি তাও আবার বাবাকে না জানিয়ে তাহলে আর রক্ষা নাই।
মেয়ে ঃ এই কি ভাবছো?
ছেলে ঃ ভাবছি বাড়িতে গেলেই তো বাবা আমার বারোটা বাজিয়ে দিবে।
মেয়ে ঃ আমি আছি তো।
ছেলে ঃ সেটাই তো বড় সমস্যা।
মেয়ে ঃ মানে।
ছেলে ঃ বাবা যদি জানতে পারে আমি বিয়ে করছি তাহলে আমার কি হাল করবে বুঝতে পারছো?
মেয়ে ঃ আরে কিচ্ছু হবে না। তুমি চলো তো।
ছেলে ঃ কি আর করার। যেতেই তো হবে। আর বেচে থাকলে মসজিদে ৫কেজি মিস্টি দেব।
আপাতত বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি। আর মনে মনে ভাবছি কি করবো? এমন সময় নিলীমা আমার শার্টের কলার ধরে ভিতরে ঢুকলো। আমি তো ভয়ে প্রায় অর্ধেক মরেই গেছি।
ভয়ে ভয়ে ভিতরে ঢুকতেই দেখি বাবা মোটা লাঠি হাতে বসে আছে। আমি কোন কথা না বলেই হাতটা ছেড়ে পাখির মতো দিলাম এক দৌড়। এমন দৌড় আগে কখনো দিয়েছি কি না আমার মনে নেই। যদি এখন দৌড় প্রতিযোগিতা হতো তাহলে আমি নিশ্চিত উসাইন বোল্ট কে হার মানাতাম। হাপাতে হাপাতে এক দোকানের সামনে এসে থামলাম। মনে মনে বললাম আজ আমার বাড়িতে যায়গা নেই।
বাবা এতোক্ষণে মনে হয় সবটা জেনে গেছে। কিন্তু চিন্তা হচ্ছে নিলিমা কে তো রেখে আসলাম তার কি হবে।
এভাবে ভাবতে ভাবতে মনে পরলো নিজে বাচলে বাপের নাম। ও কি করবে তা আমি কি জানি। তো অনেকটা সময় বসে বসে চিন্তা করছিলাম। বাড়ি যাব কি করে। এদিকে ক্ষিদেও পেয়েছে। পকেটে টাকাও নেই। সন্ধ্যা হতে বেশী সময়ও নাই। এমন সময় জাকির ফোন দিলো।
জাকির ঃ হ্যালো বস কোথায় তুই?
ছেলে ঃ কেন রে বিড়ি খাওয়ার টাকা নাই নাকি?
জাকির ঃ আরে নাহ। তুই নাকি বিয়ে করেছিস?
ছেলে ঃ হুম তোকে কে বললো?
জাকির ঃ কেউ না, কোথায় আছিস তুই?
ছেলে ঃ এই তো চাদের দেশে হানিমুনে। ডিস্ট্রাব করিস না।
জাকির ঃ মর তুই সালা।
ছেলে ঃ বস মরেই গেছি রে।
জাকির ঃ বাসায় আয়।
ছেলে ঃ আসছি। দোয়া করিস। বেচে গেলে আজকে সিগারেট খাওয়ার টাকা আমি দেব। তারপর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। হাটছি আর হাটছি। বাড়ির সামনে গিয়ে গেট দিয়ে উকি দিলাম। যা দেখলাম মনে হলো আমি আকাশ থেকে পরলাম।
দেখি বাবা মা ছোট বোন আর নিলিমা হাসাহাসি করছে। সাথে,চা ও খাচ্ছে। ব্যাপার টা কি ঠিক বুঝতে পারছি না। এমন সময় বাবা দেখে আমাকে ডাক দিলো।
শুভ এদিকে আয়।
এই যা বাবা দেখে ফেলছে। যাক ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম। কি বাবা?
কোথায় থাকিস তুই?
না মানে আসলে।
হয়েছে আর মানে মানে করতে হবে না। এই নে টাকা বাজারে গিয়ে বাজার করে নিয়ে আয়।
এখন বাজারে কেন?
তোর শশুর বাড়ি থেকে লোক আসবে। খেতে দিতে হবে না।
আমার শশুর বাড়ি মানে?
বিয়ে করছিস আর শশুর বাড়ি চিনিস না?
ওহ তাই তো।
যা এক্ষুনি যা।
হ্যা বাবা যাচ্ছি।
নিলিমার দিকে একবার তাকালাম দেখলাম সে হাসছে। তাহলে কি বাবা বিয়ে টা মেনে নিয়েছে? কেমন মেয়ে রে বাবা তিন ঘন্টায় আমার ফ্যামিলির সবাইকে রাজি করে ফেলছে।
কি আর করার বাজার করতে যাই।