Eti Chowdhury And Cathriner Valobasar Golpo. ইতি চৌধুরী এবং ক্যাথরিন এর রোমাঞ্চকর ভালোবাসার গল্প।

Eti Chowdhury And Cathriner Valobasar Golpo. ইতি চৌধুরী এবং ক্যাথরিন এর রোমাঞ্চকর ভালোবাসার গল্প।

Eti Chowdhury And Cathriner Valobasar Golpo. ইতি চৌধুরী এবং ক্যাথরিন এর রোমাঞ্চকর ভালোবাসার গল্প।



রোদ ইতির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিস ফিস করে বলে,

-শুধু আজকের রাতটাই একটু অপেক্ষা করো প্লিজ। কথা দিচ্ছি এটাই শেষ অপেক্ষা।

কথাটা বলেই সরে যায় রোদ। লজ্জায় ইতি লাল হয়ে গেছে।

 

সারারাত ক্যাথরিনের ঠিক মতো ঘুম হয়নি। রোদ আর তার নেই।  নিজের বোকামির জন্য সে রোদকে হারিয়ে ফেলেছে। হঠাৎ গেস্ট রুমের দরজায় কেউ টোকা দিতেই হয়তো রোদ এসেছে ভেবে খুশি হয়ে দরজা খুলেই কিছুটা চমকে উঠে ক্যাথরিন। রোদ নয় তার মা এসেছে।

-আসতে পারি কি?

মিসেস চৌধুরী ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি চাওয়ায় ক্যাথরিন দরজা ছেড়ে দাঁড়ায়। রুমের ভিতরে প্রবেশ করে একটা চেয়ারে বসতে বসতে মিসেস চৌধুরী বলেন,

-আমি রোদের মা।

-চিনি আমি আপনাকে।

-হুম, এসো বসো। তোমার সাথে দুটো কথা বলি।

মিসেস চৌধুরীর মুখো-মুখি একটা চেয়ার টেনে ক্যাথরিন বসতেই তিনি বলে,

-আমি একটু বাইরে যাচ্ছি এসে হয়তো আমাদের আর দেখা হবে না তাই ভাবলাম তোমার সাথে দুটো কথা বলে যাই। আসলে কথা নয় আমার তোমাকে ধন্যবাদ বাদ দেয়ার ছিল।

অবাক হয়ে ক্যাথরিন মিসেস চৌধুরীর দিকে তাকাতেই তিনি আরও বলেন,

-আসলে তখন তুমি আমার ছেলেকে কষ্ট না দিলে আমার ছেলেটার জীবন আজ এতো সুন্দর হতো না। ইতির মতো এতো লক্ষি একটা মেয়ে আমার ঘরের বউ হয়ে আসতো না। বুঝতেই পারছো কি বলতে চাইছি।

মিসেস চৌধুরী বসা থেকে উঠতে উঠতে বলেন,

-আশা করি দুদিন পর ফিরে তোমাকে আর দেখবো না। এতদিন যেমন দূরে ছিলে আগেও তাই থেকো। আসি, ভালো থেকো।

নিজের কথা বলে আর অপেক্ষা করলেন না মিসেস চৌধুরী।। ক্যাথরিনকে চমকিত অবস্থায় রেখে তিনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।

 

গেস্ট রুম থেকে বেরিয়ে ড্রইং রুমে এসেই মিসেস চৌধুরী অতুলকে ডাকলে তার কন্ঠ পেয়ে ইতি কিচেন থেকে বেরিয়ে আসে।

-মা কিছু লাগবে আপনার?

-তোমাকেই ডাকার জন্য।

ইতি লক্ষ করে মিসেস চৌধুরী বেস পরিপাটি হয়ে আছেন। সকাল সকাল মিসেস চৌধুরীকে তৈরি দেখে ইতি জানতে চায়,

-মা আপনি কোথাও যাচ্ছেন?

-হ্যাঁ। আমি তোমার বাবার কাছে যাচ্ছি দুদিনের জন্য।

-হঠাৎ?

-এমনি তার কথা খুব মনে পরছে তাই।

-অতো দূর আপনি একা যাবেন? আজ না হয় থাক। আপনার ছেলে আজ বাড়ি ফিরুক তাকে সাথে নিয়ে না হয় যাবেন।

তার প্রতি বউয়ের চিন্তা দেখে হেসে দিয়ে ইতির হাত ধরে মিসেস চৌধুরী বলেন,

-চিন্তা করো না রোদ জানে। অতুল যাচ্ছে আমার সাথে।

-ওহ তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু…

-আবার কিন্তু কি?

-এতো বড় বাড়িতে আমি একা থাকবো?

-একা কেন থাকবে আমার ছেলেটাকে তোমার কাছে রেখে যাচ্ছি তো। তাকে দিয়ে একটু নিজের যত্ন আত্তি করাও। তুমি তার বউ এটা তাকে ও বাকি সবাইকে বুঝিয়ে দাও।

শাশুড়ির কথা শুনে লজ্জা পেয়ে যায় ইতি। ইতির শাশুড়িও পেয়েছে একজন ঠিক বান্ধবীর মতো।

অতুল এসে বলে,

-মা চলো ভাইয়া এসে গেছে।

মিসেস চৌধুরী ইতির মাথায় হাত রেখে বলেন,

-একদম চিন্তা করো না রোদ আমাকে নামিয়ে দিয়ে আসবে। তুমি নিজের আর আমার ছেলের যত্ন নিও। দুদিন পরেই চলে আসবো। আর একটা কথা আপদটাকে বিদায় করার ব্যবস্থা করো। কোন দূর্ঘটনা আমি চাই না। হাত ফসকে গেলে হারাবে কিন্তু তুমি।

ইতি মিসেস চৌধুরীর আরেকটা হাত শক্ত করে ধরে চোখের ইশারায় তাকে আশ্বস্ত করে।

 

দুপুরের খাওয়ার সময় অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। রোদ এখনো আসেনি। বাড়িতে কুকুড় বিড়াল থাকলেও মানুষ তাদের খেতে দেয় সেখানে ক্যাথরিন তো মানুষ। জলজ্যান্ত একজন মানুষকে ইতি উপেক্ষা করে কিভাবে। একটু আগেই ইতি ক্যাথরিনকে খাওয়ার জন্য ডেকে এসেছে। ক্যাথরিনের কোন শব্দ সে পায়নি। আসবে কিনা তা ইতির জানা নেই। তার উচিত মনে হয়েছে সে ডেকে এসেছে।

টেবিলে খাবার নিয়ে বসে আছে ইতি ক্যাথরিনের অপেক্ষায়। বেশ কিছুক্ষণ পর ক্যাথরিন বেরিয়ে আসে। খাবার টেবিলের কাছাকাছি আসতেই ইতি স্মিত হেসে একটা চেয়ার দেখিয়ে দেয়। ক্যাথরিন বসতেই ইতি তার জন্য খাবার বাড়তে নিলে সে বাঁধা দিয়ে বলে,

-আমি খাবো না কিছু। আমার তোমাকে কিছু বলার আছে।

ভাত বাড়ার চামচটা নিচে নামিয়ে রাখতে রাখতে ইতি বলে,

-কিন্তু আমার আপনার কাছে কিছু জানার নেই আর না আমি জানতে চাই। তবে আপনাকে কিছু বলার আছে আমার।

ক্যাথরিন মাথা তুলে ইতির দিকে তাকাতেই ইতি বলতে লাগে,

-মা আপনাকে কিছু না কিছু বলেছে এটা আমি সিওর। আর সে কি বলেছে বা বলতে পারে তা আমার জানা আছে। এই বাড়িতে বিয়ে করে তাকে শুধু শাশুড়ি নয় একজন বন্ধবীর মতো পেয়েছি আমি। তাই সে কাকে কি বলতে পারে সেটা আমি জানি। তার মতো কঠিন করে হয়তো আমি কিছু বলতে পারবো না। আপনি যেতে না চাইলে বেরও করে দিতে পারবো না তার কারণ কোথাও না কোথাও আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ কারণ আপনি সরে না গেলে মানুষটা কখনো আমার হতো না। এতোদিন পর কেন আপনি ফিরে এসেছেন জানি না কিন্তু আপনি কি হারিয়েছেন তা আপনি না জানলেও আমি জানি। কারণ আমি তাকে পেয়েছি।

-সত্যি পেয়েছো?

ক্যাথরিনের প্রশ্নে স্মিত হেসে ইতি বলে,

-পেয়েছি বইকি। যে মানুষটার দিন গুলো আর আমাকে ছাড়া দিন হয় না। যে মানুষটার আমার গাঁয়ের গন্ধ ছাড়া ঘুম হয় না। যে মানুষটার আমার দেহের উষ্ণতা ছাড়া রাত গভীর হয় না সে তো আমারই তাই নয় কি?

বছর দেড়েক আগে একদিন এমন কিছু কথাই বানিয়ে বলেছিল রোদ রাফসানকে যেন সে ইতির থেকে দূরে থাকে আজ একই রকম কিছু কথা ইতি ক্যাথরিনকে বলছে যেন সে রোদের থেকে দূরে থাকে। ইতির কথাগুলো যেন খুব আঘাত দিচ্ছিলো ক্যাথরিনকে। তবু ইতি বলতে থাকে,

-খুব রাগ হয়েছিল আমার খুব। ইচ্ছে করছিল তাকে খুন করে ফেলি। তার সন্তান অন্য কারে গর্ভে এসেছিল ব্যাপারটা একদম মানতে পারিনি আমি। সে আমার, তার সন্তানও আমারই গর্ভে আসবে অন্য কোন বেগানা মহিলার গর্ভে নয়। খুব রাগ হয়েছিল। আমার আত্মসম্মানে লেগেছিল খুব তাও তাকে মাফ করে দিলাম কেন জানেন? তার ভাগের শাস্তি সে পেয়ে গেছে। মরাকে নতুন করে মারার কোন মানে হয় না। আমার সাথে করা তার সেই বেঈমানির শাস্তি তার ঐ অনাগত সন্তান পেয়েছে। তাই তাকে দেয়ার মতো আর কোন শাস্তি আমার কাছে অবশিষ্ট ছিল না। আর এখন চাইলেও কেউ তাকে আমার কাছে থেকে কেরে নিতে পারবে না।

-রোদ আমায় ভালোবাসতো।

-বাসতো বাসে না। এখন তার সবটা কেবল আমি। আপনি আমার জীবনের সবচাইতে প্রিয় মানুষটাকে তার জীবনের সব চাইতে বড় কষ্ট দিয়েছেন। তাও কিছুই বলবো না আপনাকে আমি তার কারণ একটাই আপনার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আপনার জন্যই আমি তাকে পেয়েছি।

-তুমি….

-বলেছি আপনার কোন কথা শুনতে চাই না। বেড়াতে চাইলে বেড়ান কেউ না করবে না তবে আমাদের জীবনে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আপনাকে উপড়ে ফেলে দিতে আমার দুই মিনিটও লাগবে না। এখানে রোদ আহমেদ চৌধুরী কি সে সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই। আর তার বউ হিসেবে আমি কত দূর যেতে পারি সে সম্পর্কে আপনি ভাবতেও পারবেন না। তাই আমার হাজবেন্ডের দিকে ভুলেও নজর দেয়ার চেষ্টা করবেন না, চোখ উপড়ে ফেলবো আমি আপনার।

শেষ কথাটা বলার সময় একটা পৈশাচিক হাসি ছিল ইতির ঠোঁটে। ইতির মতো মেয়ের মাঝেও এমন রূপ বিদ্যমান ভাবাই যায় না। স্বামী জিনিসটাই এমন। কোন তৃতীয় ব্যাক্তি তার দিকে নজর দিলে কোন স্ত্রীই সহ্য করবে না।

 

কারো পায়ের শব্দ পেয়ে ঘুরে তাকাতেই ইতি দেখে রোদ আসছে। রোদকে আসতে দেখে ইতি উঠে এসে রোদের কাছে আসে। রোদ বলে,

-অনেক অপেক্ষা করেছো বুঝি?

-না তেমন নয়। খাবার দেই?

-এক মিনিট।

এক মিনিট বলে রোদ ক্যাথরিনের সামনে গিয়ে বলে,

-যা বলেছিলাম করেছো?

-হুম।

-ওকে বাইরে ড্রাইভার অপেক্ষা করছে তোমার জন্য। তোমার থাকার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি আমি। যতদিন ইচ্ছা থাকো সব খরচ আমার কিন্তু ভুলেও আমি কিংবা আমার বউয়ের আশেপাশেও আসবে না। তোমার জন্য আমাদের জীবনে কোন অশান্তি চাই না আমি। একদিন আমার থেকে আমার সব কেড়ে নিয়েছিলে তুমি। আবার নতুন করে তোমাকে আমি আমার কোন ক্ষতি করতে দিবো না। আর কখনো আমার চোখের সামনে আসবে না। এখন আসতে পারো তুমি।

ক্যাথরিনকে আর কিছুই বলার সুযোগ দেয় না রোদ। ক্যাথরিন বেরিয়ে যেতেই রোদ ইতির কাছে গিয়ে আলতো করে ইতির কপালে একটা চুমু খেয়ে বলে,

-আমি ফ্রেস হয়ে আসছি তুমি খাবার দাও প্লিজ। প্রচুর ক্ষুদা পেয়েছে।

-এখনই দিচ্ছি।

-আর শুনো সন্ধ্যায় রেডি হয়ে থেকে একটু বাইরে যাবো।

-কোথায়??

-গেলেই দেখে নিও।

 

খাওয়া দাওয়ার পরে বিকেলে বিশ্রাম করছিল ইতি। রোদ অফিসে যাওয়ার আগে জানিয়ে যায় তাকে সন্ধ্যার পর এসে পিক করবে সে। তবে কোথায় যাবে কিছুই জানায় না। ইতি জানতে চাইলে শুধু বলে আজ খুব বিশেষ কিছু৷ ইতি আর কথা বাড়ায় না।

 

ঠিক সন্ধ্যা বেলাই রোদ এসে ইতিকে পিক করে নিয়ে যায়। ইতি বেশ অবাক হয় যখন তাকে নিয়ে রোদ নাম করা একজন মেকওভার আর্টিস্টের কাছে আসে। কি হচ্ছে ইতি কিছু বুঝতে পারছে না। ইতিকে ও তার জন্য আনা ব্যাগগুলো হ্যান্ড ওভার করে দিয়ে ইতিকে রোদ বলে,

-গাড়ি আর ড্রাইভারকে রেখে যাচ্ছি। তুমি রেডি হয়ে বাসায় চলে এসো আমার একটু কাজ আছে রাগ করো না প্লিজ।

ইতি মুখে কিছু বলে না শুধু মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দেয়। রোদ ইতিকে রেখে বেরিয়ে যায়।

 

ইতি তৈরি হয়ে বাসায় আসতে আসতে বেজে যায় রাত সাড়ে ১০ টা। বাসায় এসে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতেই ইতি থ হয়ে যায়। সব লাইট অফ করা কেবল ছোট ছোট কিছু স্পট লাইট অন করা। ইতি চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখে মস্ত বড় ড্রইং রুমটা সাদা গোলাপে মো মো করছে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁড়িয়ে গিয়ে ইতি নিজের দিকেও একবার চোখ বুলায় তার পরনে একটা সাদা ভারী জামদানী। আপাদম্তক সাদায় মোড়ানো সে। মুহুর্তেই যেন একটা শীতল হাওয়া ইতির বুকের ভেতর খেলে গেলো। স্পট লাইটের অল্প আলোয় উপরে উঠতে লাগে ইতি। রোদকে কোথাও দেখছে না সে। গলা দিয়ে শব্দও আসছে না ইতির আপাতত। তাই চুপচাপ সে উপরে উঠতে থাকে। আজ যেন আবার নতুন করে বউ সেজে ইতি। নিজের রুমের সামনে গিয়ে থেমে যায় ইতি। দরজাটা দেয়া সে কি করবে বুঝতে পারছে না। অপেক্ষা করবে নাকি রোদকে ডাকবে। কিছুই মাথায় আসছে না দেখে ইতি দরজায় আলতো করে ধাক্কা দিতেই তা খুলে যায়। সম্পূর্ণ দরজা ঠেলে ইতি ভেতরে প্রবেশ করে যেন তব্দা মেরে যায়। সে যেন কোন সাদার দুনিয়াতে আছে। সমস্ত রুম জুড়ে যেন সাদার ছড়াছড়ি। বিছানাটা শতশত সাদা গোলাপ দিয়ে সাজানো। সম্পূর্ণ রুম সাদা দিয়ে ডেকোরেট করা। জানালা পর্দা ডুব সাদা পর্দা দিয়ে মোড়ানো। চারিদিকে এতো সাদা দেখে ইতির যেন নেশা ধরে যাচ্ছে। আচমকাই পিছন থেকে রোদ ইতিকে জড়িয়ে ধরে বলে,

-বলেছিলাম না সুযোগ পেলে বুঝিয়ে দিবো সাদা কত রোমাঞ্চকর একটা রঙ। আজ তোমার আমার মিলনের একমাত্র সাক্ষী হবে এই সাদা রঙটাই। সাদা পবিত্রতার চিহ্নকে সাথে নিয়ে তুমি আমি আমাদের পবিত্র সম্পর্কের শুরু করবো।

ইতি লজ্জায় কুঁকড়ে যাচ্ছে। রোদ ইতিকে কোলে তুলে বিছানায় নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেয়। ইতি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। তার ভিষন লজ্জা করছে, ভিষণ। লজ্জায় সে রোদের দিকে তাকাতেই পারছে না। রোদ ইতির চিবুকে আঙ্গুল দিয়ে মুখটা উপরে তুলে ধরে ইতির গালে একটা চুমু খায়। আলতো করে ইতির কানের কাছে মুখ নিয়ে রোদ বলে,

-মে আই?

ইতি মুখে কিছু বলতে পারে না। লজ্জায় রোদের বুকে মুখ লুকায় সে।

কিছু সময় পর ইতি রোদকে ছেড়ে বসতেই রোদ তার একটা হাত ইতির পায়ের পাতার উপরে রাখে। ইতি পা সরিয়ে নিতে চাইলে রোদ শক্ত করে ধরে ফেলে। চাইলেও আর ইতি সরতে পারবে না। একটু একটু করে রোদ ইতির দিকে অগ্রসর হতে থাকলে ইতির নিঃশ্বাস ঘন থেকে ঘন হতে থাকে।

 

আজ আকাশে কোন মেঘ নেই তবু তুফান হচ্ছে ইতির বুকে। এই তুফানে তারা দুজন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। ইতির প্রতিটা ঘন নিঃশ্বাস গিয়ে রোদের বুকে আছড়ে পড়ছে। সে নিঃশ্বাসের তরে মাতাল হয়ে রোদ আরও বেশি উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে। ছুঁয়ে দিচ্ছে তার বউকে খুব গভীর থেকে গভীর ভালোবাসায়।

.

.

.

চলবে………

 

(সবার সুবিধার জন্য ক্যাথরিনের কথাগুলো সব বাংলায় দিলাম।)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *