ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার কয়েকটি সহজ উপায়। how to earning online by writing job?
ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার কয়েকটি সহজ উপায়।
বর্তমানে সবাই অনলাইন থেকে ইনকামের জন্য নেট দুনিয়ায় ঘুরাঘুরি করে। কেউ কেউ ইনকাম করতে পারে আবার কেউ সঠিক গাইডলাইনের অভাবে ইনকাম করতে পারে না। আজকে আমি ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের কয়েকটি সহজ উপায় নিয়ে লেখার চেস্টা করব। মনযোগ দিয়ে পুরো লেখাটি পড়ার চেষ্টা করবেন।
Project Writing :
Project Writing কথাটা শুনে অনেকের কাছেই অবাক লাগতে পারে।কিন্তু আপনি যদি পুরো আর্টিকেল টি পরেন তবে আমি বলতে পারি আপনার কোন কিছু অজানা থাকবে না। প্রজেক্ট রাইটিং বলতে ইউনিভার্সিটি লেভেলে যে সকল স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করে বিশেষ করে যারা MBA লেভেলে পড়াশুনা করে তাদের প্রত্যেক সেমিস্টার শেষে কিন্তু প্রজেক্ট লিখতে হয় এবং সেই প্রজেক্ট তাদের ইউনিভার্সিটিতে জমা দিতে হয়।
কিন্তু যারা MBA লেভেলের স্টুডেন্ট তারা ম্যাক্সিমাম জব হোল্ডার। তাদের জব এর পাশাপাশি ক্লাস করতেই অনেক কস্ট হয়ে যায়। সেই সাথে প্রজেক্ট লিখে জমা দেয়া আরো বেশি কস্ট হয়ে যায়। আপনি যদি তাদের কাছ থেকে কাজটি নিয়ে করে দিতে পারেন তবে আপনি সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই কাজটি কিন্তু অতটা কঠিন কিছুই না। আপনি জাস্ট দেখে দেখে লিখে দিবেন। আর যেহেতু তারা জব হোল্ডার তাই তাদের কাজ করে দিলে তাদের টাকা দিতে কোন সমস্যা হবে না। এখন কথা হল আপনি কাজটা কিভাবে পাবেন? যারা MBA লেভেলে পড়াশোনা করে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ফেইসবুক আপনাকে সহযোগিতা করবে। প্রথম প্রথম আপনার একটু কস্ট হবে। যখন আপনি দুই তিনটা কাজ করে দিবেন তারপর আর সমস্যা হবে না। তখন আপনার পাবলিসিটি হয়ে যাবে এবং সাথে আপনি বেশি কাজ পাবেন।
Bio- Floc :
Bio- Floc নামটা অনেকের কাছে নতুন। আবার অনেকের কাছে Bio- Floc খুব পুরনো বেপার। তারপরও আমি আপনাদের পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলছি। যারা জানেন না তাদের বিষয়টি বুঝতে সুবিধা হবে। Bio-Floc হলো এক ধরনের ফিসারিজ পদ্ধতি বা মাছ চাষের পদ্ধতি। একটি ট্যাংকের মত বড় পাত্রে মাছ চাষ করা। এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে মাছ খুব দ্রুত বড় হয় এবং মাছের খাবার খুব কম লাগে।
অল্প দিনের ভিতরেই আপনি মাছগুলো বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য বর্তমানে এই পদ্ধতিতে মাছ চাষের দিকে অনেক লোক ঝুকে পরছে। চাইলে আপনিও এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করে দিতে পারেন।
অনলাইনে কিডস আইটেম সেল(Online Kids Item Sell) :
বর্তমানে অনলাইন বিজনেসের চাহিদা ব্যাপক। বিশেষ করে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস আসার পর থেকে অনলাইন বিজনেসের চাহিদা বেড়ে গেছে। অনলাইনে এতো ব্যবসা থাকতে কেন আপনাদের কিডস আইটেম সেল দেয়ার ব্যবসার কথা বলতেছি। অবশ্যই এর একটা কারণ আছে। এর প্রধান কারন হল এই ব্যবসায় লাভ বেশি হয়।
বাচ্চাদের যেকোনো জিনিস যেমন খেলনা বা শার্ট ইত্যাদি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার পর আপনাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেমন প্রডাক্ট এর কোয়ালিটি খারাপ হওয়া যাবে না, কাস্টমারদের সাথে দু নাম্বারি করা যাবে না। প্রথম প্রথম একটু কস্ট হবে। সমস্যা নাই আপনি চালিয়ে যান সফল একদিন হবেন ইনশাআল্লাহ।
Virtual Assistant :
Virtual Assistant হলো এক ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম। যেমন আপনি আপনার গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। আরো ক্লিয়ার করে বলছি, মনে করেন বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের বাহিরে যায়।
কিন্তু তারা সঠিকভাবে জানেনা যে তার এই সমস্যার জন্য কোন হসপিটাল ভালো হবে। আপনি তাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন এবং রোগী যেই দেশে যেই ডাক্টারের কাছে যাবে সেই ডাক্টারের সাথে যোগাযোগ করে রোগীর অ্যাপোয়েনমেন্ট এর ব্যবস্থা করে দিলেন। এতে করে আপনি তার কাছ থেকে কিছু টাকা চার্জ নিবেন।
তাদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবেন? অনলাইনে ইমেইল করে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন।
Delivery Man :
ডেলিভারি ম্যান বলতে আমি আপনাদের সাজেস্ট করব ফুডপান্ডা তে জব করার জন্য। এই ডেলিভারি ম্যান হিসাবে কাজ করলে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারবেন। যেমন কেউ একটা অর্ডার করলো সেই লোককে সঠিক সময়ে প্রডাক্ট পৌঁছে দেয়া। এতে করে আপনার সময়ের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। কারণ ব্যবসা শেখার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এই রোড লেভেলে কাজ করেন সেটা ব্যবসা শেখার প্রথম ধাপ হিসাবে নিতে পারেন।
Freelancing :
অনলাইন থেকে ইনকাম এর সেরা মাধ্যম হল ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের কমন ফ্রিল্যান্সিং হল গ্রাফিক্স ডিজাইন,ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েভ ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। আপনার কাছে যেটা ভালো মনে হবে আপনি সেটা খুব ভালো ভাবে শিখে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।