কোলকাতার জনপ্রিয় ১০ টি স্থানের নাম। top ten tourist place Kolkata

কোলকাতার জনপ্রিয় ১০ টি স্থানের নাম। এবং কেন জনপ্রিয় তার বিবরণ। 

কোলকাতার জনপ্রিয় ১০ টি স্থানের নাম। এবং কেন জনপ্রিয় তার বিবরণ।

কোলকাতার রসগোল্লা থেকে মিষ্টি দই, ট্রেনের ঘন্টা ধনি থেকে ময়দানের আড্ডা, বিকেল বেলা নদীর পারে পা দোলানো এই সবকিছুকে ঘিরে সর্বত্রই উন্মাদনা  ছড়িয়ে আছে আনন্দের শহর কোলকাতা। 

পুরনো ঐতিহ্যের সাথে আধুনিকতার ছোয়ার যুগল বন্দী শহর কোলকাতার অলি গলি জুরে রয়েছে এক অকৃত্রিম ভালোবাসা। সিটি অফ জয়ের সাথে পরিচিত হতে গেলে একবার শহর কোলকাতা ঘুরতেই হবে।

কোলকাতার এমন কিছু ঘোরার জায়গা আছে যেখানে ঘুরতে গেলে মানুষের মন আনন্দে ভরে যায়। সেই রকম ১০ টি দর্শনীয়  স্থানের কথাই এই আর্টিকেলে লিখব।

নাম্বার ১০
মুর্শিদাবাদ ঃ 

মুর্শিদকুলী খানের প্রতিষ্টিত এই মুর্শিদাবাদ এক সময় অবিভক্ত বাংলার রাজধানী ছিল। এটি বাংলার ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুর্শিদাবাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হল হাজার দুয়ারী। এই প্রাসাদের ১০০০ দরজা দেখতে পাওয়া যায়। আর এজন্যই এটিকে হাজার দুয়ারী প্রাসাদ বলা হয়।

নাম্বার ৯ 
মায়াপুর ঃ

 নদিয়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল এই মায়াপুর। মায়াপুর সবচেয়ে বিখ্যাত হল ইসকন মন্দিরের জন্য। নগরদীপের কাছে জরঙ্গী নদী এবং গঙ্গার মিলনস্থলে মায়াপুর অবস্থিত। ইসকন মন্দির ছাড়াও এখানে আরো অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এখানে শ্রী চৈতন্যের জন্মস্থান চৈতন্য মঠ এখানে অবস্থিত। 

নাম্বার ৮ 
আলিপুর চিড়িয়াখানা  ঃ

 কোলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় একটি ভ্রমণ কেন্দ্র হল এই আলীপুর চিড়িয়াখানা। ১৮৭৬ সালে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর আয়তন প্রায় ৪৫ একর এরিয়া। এটি কচ্ছপের আবাসস্থল হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছিলো। এখানে অনেক পুরনো একটা কচ্ছপ ছিল।  মৃত্যুকালে এই কচ্ছপটির বয়স ছিল ২৫০ বছরের বেশি। এই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের জীবযন্তু দেখতে পাবেন। হাতি, জিরাফ, বাঘ,হরিণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। 

নাম্বার ৭ 
দীঘা ঃ 

দীঘা সমুদ্র সৈকত  পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত। কোলকাতার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম। এই সমুদ্র  সৈকতের উল্লেখযোগ্য স্থান গুলো হল ওল্ড দীঘা, নিউ দীঘা, চম্পা নদীর মোহনা, অমরাবতী লেক ইত্যাদি। এছাড়াও দীঘা সংলগ্ন কয়েকটি স্থান হল মন্দার মনি, শংকর পুর,তাজপুর। এখানে প্রচুর ঝাউ গাছ দেখতে পাবেন। এখানে শীতকালে পর্যটকদের ভীড় বেশি থাকে। 

নাম্বার ৬ 
নিকো পার্ক ঃ 

সল্টলেকে অবস্থিত মোট ৪০ একর জমির উপর নির্মিত চিত্তবিনোদন পার্ক হল এই নিকো পার্ক। বিভিন্ন আনন্দদায়ক রাইডের পাশাপাশি এখানে নৌকা চালানোর জন্য একটা লেক আছে।

নাম্বার ৫ 
সাইন্স সিটি ঃ 

পূর্ব কোলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস এবং জে বি এস হ্যালডেন অ্যাভিনিউ এর সংযোগস্থলে ৫০ একর জমির উপর এই সাইন্স সিটি অবস্থিত। ১৯৯৭ সালের ১ লা জুলাই সাইন্স সিটির উদবোধন হয়। সাইন্স সিটি উদবোধনের মূল উদ্দেশ্য ছিল কলকাতাবাসীর কাছে বিঞ্জানকে জনপ্রিয় করে তোলা। এই বিঞ্জানকেন্দ্রিক সংগ্রহ শালায় আপনি অনেক কিছু দেখতে পাবেন। যেমন স্পেস এক্সিবিশন, ডাইনামোশন, আর্থ এক্সপ্লোরেশন, মেরী টাইম সেন্টার ও সাইন্স পার্ক।

নাম্বার ৪ 
ডোয়ারস ঃ

 বাঙালীদের অধিক প্রিয় জায়গা হল ডোয়ারস।জঙ্গল, অভয়ারন্য ন্যাশনাল পার্ক, বন্য জীবযন্ত্র এসবের কথা মাথায় এলেই বাঙালীদের শুধু মনে পরে একটি নাম আর সেটা হল ডোয়ারস। এখানে সাধারণত পর্যটকরা জঙ্গল, বন্য জীব,দেখতে আসে। ডোয়ারস মানেই জঙ্গল, বন্য প্রাণী নয়। এখানে আরো অনেক আকর্ষণীয় স্থান আছে। তা হল চা বাগান ও পাহাড়। বিখ্যাত জলং ডাক বাঙলোর নামতো অবশ্যই শুনেছেন। এটা ডোয়ারস এর জলদা পাড়াতে অবস্থিত। 

নাম্বার ৩ 
কোচ বিহার ঃ 

পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহাসিক পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই কোচ বিহার। খুব সুন্দর সাজানো গোছানো এই শহরকে বলা হয় রাজার শহর। এই রাজার শহর কোচ বিহারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হল কোচ বিহার রাজবাড়ী। লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের আদলে এটি তৈরী। কোচ বিহারের বিখ্যাত কোচ রাজারা এখানে রাজত্ত করতেন। এছাড়া কোচ বিহারের অন্যান্য জনপ্রিয় স্থানগুলো হল মদনমোহন বাড়ি,সাগর দিঘী, বড়দেবি বাড়ি ও মধুপুর থাম। এখানকার প্রধান উৎসব হল রাশমেলা। 

নাম্বার ২ 
সুন্দরবন ঃ 

সুন্দরবন হল বঙ্গোপসাগরে উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি। যা পৃথিবীর প্রাকৃতিক বিস্ময়ের অন্যতম। সমুদ্রের নোনা পরিবেশে সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসাবে সুন্দরবন সর্ববৃহৎ বনভূমি। প্রায় ১০০০ বর্গমাইল জুড়ে গড়ে ওঠা এই বনের কিছু অংশ কোলকাতায় এবং বাকি অংশ বাংলাদেশে। এই বনের প্রধান আকর্ষণ হল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এছাড়া আরো আছে হরিণ বানর সহ অনেক পশু পাখি। দেশ বিদেশের হাজার হাজার পর্যটক প্রতি বছর এখানে ঘুরতে আসে। 

নাম্বার ১ 
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঃ 

পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতায় অবস্থিত রানী ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ হল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। সম্পূর্ন সেত পাথর দারা তৈরী রানী ভিক্টোরিয়ার প্রতিকৃতিটি বর্তমানে জাতীয় প্রদর্শনীশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ। এর ভিতরে রয়েছে ২৫ টি গ্যালারি। চারপাশে রয়েছে বিশাল বাগান। এই সৃতিসৌধটির উদ্ভোদন হয় ১৯২১ সালে। বর্তমানে অনুরাগী বিলাসী যুগলদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় এই জায়গাটি। 

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *