দার্জিলিং এর ১০ টি সেরা দর্শনীয় স্থান। দার্জিলিং সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।Top Ten Tourists Place In Darjeeling.

 

দার্জিলিং এর ১০ টি সেরা দর্শনীয় স্থান। 

দার্জিলিং সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ঃ

পাহাড়ের রানী দার্জিলিং এর আকর্ষণ দুর্নিবার যা অসিকার করার কোন কারণ বাঙালিদের নেই। শীতের কুয়াশাই হোক বা বর্ষাকালের স্যাতস্যাতে অবস্থাই হোক কিংবা গ্রীষ্মের চকচকে আবহাওয়াই হোক দার্জিলিং এর চেয়ে রূপসী পাহাড়ের শহর আর আছে কিনা তা আমার জানা নেই। এতদসত্তেও যেসব বাঙালি এখনো দার্জিলিং শহর ভ্রমণ করেনি তাদের জন্য আমার এই লেখাটি। দার্জিলিং এর সেরা কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে এই পুরো আর্টিকেল এ জানতে পারবেন। এজন্য এই পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য অনুরোধ রইল। 

নাম্বার ৯ 

জাপানিজ টেম্পল ও পিছ প্যাগোডা ঃ 

দার্জিলিং এর সবচেয়ে উচু ইমারতগুলোর  মধ্যে এই পিছ প্যাগোডা অন্যতম। জাপানিজ টেম্পল এই বৌদ্ধ মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল ট্রাডিশনাল জাপানিজ স্টাইলে ১৯৭২ সালে। এই মন্দিরটির খুব কাছেই রয়েছে পিছ প্যাগোডা। যেখানে ৪টি বৌদ্ধ মুর্তি দেখতে পাবেন। এই পিছ প্যাগোডার উপর থেকে আশেপাশের দৃশ্যগুলো খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এটি ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আপনারা যদি এখানের এই সুন্দর দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে চান তবে এই সময়ের মধ্যে আপদের আসতে হবে। 

নাম্বার ৮

বারবটি রক গার্ডেন ঃ

পাহাড়ি ঝর্না কেনা পছন্দ করে, তা আবার যদি খুব কাছ থেকে দেখা যায়। হ্যা এইটা দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই বারবটি রক গার্ডেন এ আসতে হবে। এখানে আপনি অনেকগুলো ঝর্না দেখতে পাবেন। এর মধ্যে কিছু আছে প্রাকৃতিক এবং  কিছু আছে কৃত্রিম। দার্জিলিং শহর থেকে ২০ কিলোমিটার এটি অবস্থিত। এখানে অপূর্ব একটি ঝর্না রয়েছে। যেটা অনেক উপর থেকে নিচের দিকে নেমে এসেছে। এই ঝর্নাটি নিচ থেকে দেখলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে এটা ঠিক কোথা থেকে নেমে এসেছে। 

নাম্বার ৭

হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট ঃ

আপনি দার্জিলিং আসবেন আর চা বাগান না দেখেই চলে যাবেন তা কি হয়। কাছ থেকে চা বাগান না দেখলে আপনার দার্জিলিং ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। দার্জিলিং চকবাজার থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে এই হ্যাপি ভ্যালি টি স্টেট অবস্থিত।  এখানে চা বাগান এর অপূর্ব সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে বাধ্য। আর এই চা বাগান এর সতেজ চা আপনাকে বেশি মুগ্ধ করবে। তাই দার্জিলিং আসলে এই জায়গাটি ঘুরতে ভুলবেন না। 

নাম্বার ৬

দার্জিলিং ম্যাল ও মহাকাল মন্দির ঃ

আপনি ঘুরতে আসবেন আর মন্দির ঘুরবেন না তা কি হয়। মন্দির হলো একটা সুন্দর জায়গা বিশেষ করে হিন্দু ধর্মের লোকদের কাছে। আপনি যদি দার্জিলিং আসেন তবে অবশ্যই এই স্থানটি ঘুরে যেতে  পারেন। 

নাম্বার ৫

দার্জিলিং রোপওয়ে ঃ

দার্জিলিং এর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এই রোপওয়ে থেকে দার্জিলিং এর পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। দার্জিলিং চকবাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে শিংমারিতে অবস্থিত। এটি অফ সিজনে সকাল ১০ টা থেকে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে এবং হাই সিজনে ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ৫ কিঃ মিঃ এর রাউন্ড ট্রিপ এর ভাড়া পরবে ২০০ টাকা।

নাম্বার ৪

টাইগার হিল ঃ

দার্জিলিং এর সবচেয়ে উচু স্থান হল এই টাইগার হিল। এর প্রধান আকর্ষণ হল খুব ভোরের সানরাইজ দৃশ্য। এছাড়া এখান থেকে পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট দেখা যায়। আপনি যদি খুব ভোরের সানরাইজ দৃশ্য উপভোগ করতে চান তবে আপনাকে খুব ভোরে এখানে আসতে হবে। যদি আসতে দেরি করে ফেলেন তবে আপনাকে অনেক লোকের পিছনে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে। আর তাহলে সানরাইজ ভিউ ভালো দেখতে পাবেন না। তাই আপনাকে ভোর ৩ টার দিকে রওনা দিতে হবে। 

নাম্বার ৩

টয় ট্রেন ঃ

ট্রেনে চড়তে সবার খুব ভাল লাগে। আর সেই ট্রেন জার্নি যদি হয় উচু পাহাড়ের উপর থেকে তাহলে তো কথাই নাই। হ্যা ভারতের সবচেয়ে উচু রেলওয়ে হল এই টয় ট্রেন। আপনি যদি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তবে অবশ্যই হিমালয়ের এই টয় ট্রেন টি উপভোগ করতে ভুলবেন না। 

নাম্বার ২

বৌদ্ধ পার্ক অফ রাবাঙলা ঃ

হিমালয়ের কোলে সুশোভিত রাবাঙলা বর্তমানে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের বুকে দিগন্ত বিস্তৃত চা বাগান, মনেস্ট্রি, বৌদ্ধ মুর্তি ও মেঘ পিয়নের দেশে মন হারিয়ে যাবে না এমন পর্যটক নেই বললেই চলে। সমতল থেকে অনেক উচুতে এই সুন্দর শহর আর এখানেই এই পার্কটি। 

নাম্বার ১

দার্জিলিং চিড়িয়াখানা ঃ

দার্জিলিং এ যতগুলো টুরিস্ট স্পট আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশী সময় লাগে এই চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখতে। কারণ এখানে এতো পরিমাণ পশুপাখি আছে যা পুরো টা দেখতে আপনার সময় কুলাবে না। দার্জিলিং জু পৃথিবীর সেরা কয়েকটি জু এর মধ্যে অন্যতম। কারণ এখানে অনেক দুর্লভ প্রাণী আপনি দেখতে পাবেন। তার মধ্যে অন্যতম হল রেড পান্ডা, ব্লাক প্যানথার,সাইবেরিয়ান টাইগার ইত্যাদি। এটি বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮ঃ৩০ মিঃ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এর টিকেট খরচ ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ৭ টাকা করে এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা করে। 

এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

 

admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *