ব্যাংক কি?বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ব্যাংক কি কি?what is bank?
ব্যাংক কি?বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ব্যাংক কি কি?
ব্যাংক কি বা ব্যাংক বলতে কি বুঝায়?
ব্যাংক শব্দের সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। সাধারণভাবে বলতে গেলে যে প্রতিষ্ঠান টাকা জমা রাখে, ঋন প্রদান করে এবং সেই জমানো টাকার বিনিময়ে লভ্যাংশ বা মুনাফা প্রদান করে তাকে ব্যাংক বলে।
আর ব্যাপক অর্থে বলতে গেলে ব্যাংক হল এমন এক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান যা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা জমা করে এবং সেই জমানো টাকা ঋন হিসাবে প্রদান করে বিনিয়োগ করে এবং সেই বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্জিত লভ্যাংশ থেকে আমানতকারীকে কিছু মুনাফা প্রদান করে নিজেও লাভবান হয় তাকে ব্যাংক বলে।
ব্যাংক আমানত গ্রহণ এবং ঋন প্রদান ছাড়াও আরো অনেক কাজ করে থাকে। যেমন বৈদেশিক বানিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাংক ক্রেতা কর্তৃক বিক্রেতাকে পন্যের মূল্য পরিশোধকরনে সহায়তা করে। সবশেষে ব্যাংক নিজে কম সুদে আমানত জমা রাখে এবং সেই জমানো আমানত বেশি সুদে বিনিয়োগ করে। এর ফলে দু পক্ষের লাভ হয়।
বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ব্যাংক কি কি?
সর্বশেষ তথ্যমতে বাংলাদেশে মোট ৬১ টি তালিকাভূক্ত ব্যাংক রয়েছে। এই এতোগুলা ব্যাংকের ভিতর থেকে সেরা ১০ টি ব্যাংক বাছাই করা অনেক জটিল একটা ব্যাপার। তার পরেও অনেক চিন্তা ভাবনা এবং বিচার বিশ্লেষন করে সেরা ১০ টি ব্যাংকের একটা তালিকা করলাম। এই তালিকার সাথে ব্যাংকগুলো কি কারণে সেরা তা দেয়ার চেষ্টা করলাম।
10) Al Arafah Islami Bank Limited ঃ
আরো পড়ুন ঃ অনলাইন ব্যাংকিং কি? অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা কি?
09)Commercial Bank Of Bangladesh:
08)Bank Al Falah:
ব্যাংক আল ফালাহ লিমিটেড পাকিস্তানের একটি প্রাইভেট ব্যাংক। যা আবুধাবি গুরুপের মালিকানাধীন। এই ব্যাংকটি ২০০৫ সালের ১৬ ই মে ব্যাংক আল ফালাহ লিমিটেড ১৬.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে বাংলাদেশে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এটি পাকিস্তানের বাইরে প্রথম শাখা। বর্তমানে এই ব্যাংকটির বাংলাদেশে ৭ টি শাখা এবং ৬ টি এটি এম বুথ রয়েছে।
07)Bank Asia Limited:
ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড বাংলাদেশের একটি বানিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই বছরই ২৭ নভেম্বর তাদের ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটির অনুমোদিত মুলধন ছিল ৮০০ মিলিয়ন টাকা এবং পরিশোধিত মুলধন ছিল ২১৮ মিলিয়ন টাকা।
২০০১ সালে কানাডা ভিত্তিক নোভা স্কোশিয়া ব্যাংক এর বাংলাদেশ শাখার দায় সম্পদ সহ সকল পরিসম্পদ ক্রয় করেছে। বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম। পরবর্তীতে একইভাবে এটি মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক ক্রয় করে। ২০০৩ সালে ব্যাংকটি আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে মুলধন সংগ্রহ করে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে ব্যাংকটির ১২৯ শাখা এবং ১৬১ এটি এম বুথ রয়েছে।
06)Brack Bank Limited :
ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের বেসরকারি বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এটি মুলত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাক কর্তৃক পরিচালিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০০১ সালের ৪ ঠা জুলাই যাত্রা শুরু করে।
বর্তমানে ব্যাংকটির সারাদেশে ১৮৬ টি শাখা এবং ৫০০ টি এটি এম বুথ রয়েছে। এই ব্যাংকটি বানিজ্যিক পরিষেবা, কার্ড পরিষেবা, কর্পোরেট পরিষেবা ও এটি এম পরিষেবা দিয়ে থাকে। ব্রাক ব্যাংক বিভিন্ন সেবামুলক কাজে নিয়মিতভাবে সাহায্য করে থাকে।
05) City Bank Limited :
সিটি ব্যাংক লিমিটেড যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি ব্যাংক। যা বাংলাদেশে সিটি গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংকটি ১৮১২ সালে সিটি ব্যাংক অফ নিউইয়র্ক নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৮৩ সালের ২৭ শে মার্চ বাংলাদেশে সিটি ব্যাংক লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করে। এটি ব্যাংকিং সেবার বাইরেও আরো কিছু সেবা দিয়ে থাকে।
বর্তমানে সারাদেশে এই ব্যাংকটির ১৩০ টি শাখা এবং ৩৬৯ টি এটি এম বুথ রয়েছে। গুগল অ্যাডসেন্স যেহেতু আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান তাই আপনি খুব সহজে টাকা পাওয়ার জন্য এই ব্যাংকটি অ্যাডসেন্সে অ্যাড করতে পারেন।
04) Dhaka Bank Limited :
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড একটি বেসরকারি মালিকানাধীন বানিজ্যিক ব্যাংক। এটি ১৯৯৫ সালের ৫ ই জুলাই তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে। এর অনুমোদিত মুলধন ছিল ১০০০০ মিলিয়ন টাকা।
বর্তমানে এই ব্যাংকটির কর্মচারীর সংখ্যা ৮৯৮ জন। সারাদেশে ব্যাংকটির ১০৬ টি শাখা এবং ৫৭ টি এটি এম বুথ রয়েছে। উন্নত গ্রাহক সেবার লক্ষ্যে ঢাকা ব্যাংক তথ্য প্রযুক্তি রিটেইল, গ্লোবাল ট্রানজেকশন সার্ভিস, পুজিবাজার সেবা ইত্যাদি প্রদান করে থাকে।
03)Eastern Bank Limited :
বেসরকারি বানিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি ১৯৯২ সালের ১৬ ই আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটির অনুমোদিত মুলধন ছিল ১২০০০ মিলিয়ন টাকা।
যা প্রতিটি ১০০ টাকা মুল্যের ১০ লক্ষ সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। এর পরিশোধিত মুলধন ৭৩৮০ মিলিয়ন টাকা। এই ব্যাংকটি বিভিন্ন প্রকার আমানত ও সঞ্চয়ী হিসাব, ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে। সারাদেশে ব্যাংকটির ৮৬ টি শাখা এবং ২০২ টি এটি এম বুথ রয়েছে।
02)Exim Bank Limited :
এক্সপার্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড যা এক্সিম ব্যাংক নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি বানিজ্যিক ব্যাংক। বানিজ্যিক ব্যাংক এর সকল নিয়ম মেনে ১৯৯৯ সালের ৩ আগস্ট যাত্রার শুরু করে। শুরুতে ব্যাংকটির নাম ছিল বেক্সিম ব্যাংক লিমিটেড।
আইনগত সমস্যার কারনে পরবর্তীতে এক্সিম ব্যাংক নাম দেয়া হয়। শুরুতে ব্যাংকটির অনুমোদিত মুলধন ছিল ১০০০ মিলিয়ন টাকা। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এটি এটি বৃদ্ধি পেয়ে ২০০০০ মিলিয়ন টাকায় দাঁড়ায়। একইভাবে পরিশোধিত মুলধন ২২৫ মিলিয়ন টাকা থেকে ১৪১২২ মিলিয়ন টাকায় উন্নিত হয়।
বর্তমানে সারাদেশে ১২৪ টি শাখা এবং ৬৪ এটি এম বুথের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিয়ে থাকে।
01) Dutch Bangla Bank Limited :
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বা ডিবিবিএল বাংলাদেশ এবং নেদারল্যান্ডসের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক।এটি এম শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং ডাচ ফিন্যান্সিং সংস্থা নামক নেদারল্যান্ডসের একটি কম্পানির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা হয়।
এটি ১৯৯৬ সালের ৩ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এই ব্যাংকটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে এই ব্যাংকটির ১৯৫ শাখা এবং ৫০০০ টির বেশি এটি এম বুথ রয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এটি এম বুথ নেটওয়ার্ক এই ব্যাংকের দখলে।
এছাড়া ব্যাংকটির ৩১০০ এজেন্ট ব্যাংকিং অফিস রয়েছে। ১১০০ টি ফাস্ট ট্র্যাক রয়েছে। এই ব্যাংকটি মোবাইল ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করে থাকে। যার নাম রকেট। এটি ২০১১ সালে চালু হয়। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এটি বিকাশের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে।